top of page
Writer's pictureMehedi Hasan Ashik

কোড | BCD, EBCDIC, ASCII, ইউনিকোড

Updated: Sep 1, 2023



এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে-

১। কোডের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।

২। BCD কোড ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৩। বিভিন্ন আলফানিউমেরিক কোড (EBCDIC, ASCII, Unicode) ব্যাখ্যা করতে পারবে।


কোড কী?

মানুষের ভাষায় ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা, প্রতীক বা বিশেষ চিহ্নকে ডিজিটাল ডিভাইসে উপস্থাপনের জন্য বাইনারি বিটের অদ্বিতীয় বিন্যাস ব্যবহৃত হয়, এই অদ্বিতীয় বিন্যাসকে বলা হয় কোড। কোডকে কম্পিউটার কোডও বলা হয়ে থাকে।

অন্যভাবে বলা যায়-

কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নকে আলাদাভাবে CPU কে বুঝানোর জন্য বাইনারি বিটের (০ বা ১) অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করতে হয়। এই অদ্বিতীয় সংকেতকে বলা হয় কোড।

প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের কোডের উদ্ভব হয়েছে। যেমন−

নিউমেরিক কোড (Numeric Code)

  • বিসিডি (BCD)

  • অক্টাল কোড

  • হেক্সাডেসিমেল কোড

আলফানিউমেরিক কোড (Alphanumeric Code)

  • অ্যাসকি (ASCII)

  • ইবিসিডিক (EBCDIC)

  • ইউনিকোড (Unicode)


নিউমেরিক কোড কী?

নিউমেরিক কোড (Numeric Code) এর মাধ্যমে শুধুমাত্র সংখ্যাসূচক চিহ্ন কম্পিউটারে প্রকাশ করা যায়। নিচে নিউমেরিক কোড আলোচনা করা হলো।

BCD কোড কী?

BCD এর পূর্ণ রূপ হলো Binary Coded Decimal। ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে (০ থেকে ৯ পর্যন্ত) সমতুল্য চার-বিট বাইনারি দ্বারা উপস্থাপন করার পর প্রাপ্ত কোডকে BCD কোড বলে। অন্যকথায় BCD কোড একটি ৪-বিট বাইনারি ভিত্তিক কোড।

BCD কোড কোন সংখ্যা পদ্ধতি নয়। এটি সাধারণত ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অংককে বাইনারিতে এনকোড করার পদ্ধতি। তাই বলা যায় BCD কোড এবং বাইনারি সংখ্যা এক নয়।

ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ঘড়ি ও ভোল্টমিটার প্রভৃতিতে BCD কোড ব্যবহৃত হয়।

নিম্নে কয়েক ধরণের BCD কোডের নাম দেওয়া হলো-

  • BCD 8421 কোড (NBCD– Natural Binary Coded Decimal)

  • BCD 7421 কোড

  • BCD 5421 কোড

  • BCD 2421 কোড

  • Excess-3 কোড

0-৯ পর্যন্ত ডেসিমেল সংখ্যার বিভিন্ন BCD কোড নিচের টেবিলে দেখানো হল-




উদাহরণ-১: (592)10 কে BCD কোডে রূপান্তর কর।



সুতরাং (592)10 = (010110010010)BCD

উদাহরণ-2: (807)10 কে BCD কোডে রূপান্তর কর।


আলফানিউমেরিক কোড কী?

কম্পিউটার সিস্টেমে সংখ্যাসূচক (0-9) চিহ্নের পাশাপাশি বিভিন্ন বর্ণ (a-z,A-Z) এবং বিভিন্ন গাণিতিক (+, -, ×, ÷ etc.) ও বিশেষ চিহ্ন ($,*,#,% etc.) ব্যবহৃত হয়। এসকল সংখ্যা, বর্ণ ও চিহ্ন ডিজিটাল ডিভাইসে বোধগম্য করার জন্য যে কোড ব্যবহৃত হয় তাকে আলফানিউমেরিক কোড বলে।

  • ইবিসিডিক (EBCDIC)

  • অ্যাসকি (ASCII)

  • ইউনিকোড (Unicode)

ইবিসিডিআইসি কোড কী?

EBCDIC এর পূর্ণরূপ Extended Binary Coded Decimal Interchange Code । এটি BCD কোডের নতুন সংস্করণ। BCD কোড ৪-বিটের কোড যার মাধ্যমে ২৪ =১৬ টি বিভিন্ন সংখ্যা কোডভুক্ত করা যেত। পরবর্তিতে BCD কোডের সাথে বামে ০-৯ সংখ্যার জন্য ১১১১, A-Z বর্ণের জন্য ১১০০,১১০১ ও ১১১০ এবং বিশেষ চিহ্নের জন্য ০১০০,০১০১,০১১০ ও ০১১১ ৪-বিটের জোন বিট যোগ করে ৮-বিটের EBCDIC কোড প্রকাশ করা হয়। ফলে এ কোড দ্বারা ২৮ অর্থাৎ ২৫৬টি অঙ্ক, বর্ণ এবং বিশেষ চিহ্ন প্রকাশ করা যায়।

মনে করি ৫, কে EBCDIC কোডে প্রকাশ করতে হবে। তাহলে ৫ এর বিসিডি ৮৪২১ কোডে মান হবে ০১০১। সুতরাং, ৫ এর EBCDIC কোডে মান হবে ১১১১০১০১।

IBM মেইনফ্রেম বা এর সমকক্ষ ও মিনি কম্পিউটারে EBCDIC কোড ব্যবহার করা হয়।

ASCII কী?

ASCII এর পূর্ণ নাম American Standard Code For Information Interchange । ASCII আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত কোড। এর প্রকাশক ANSI(American National Standard Institute )। ASCII দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা:

  • ASCII-7

  • ASCII-8

ASCII-7 এ ৭টি বিট থাকে, যার বাম দিকের তিনটি বিটকে জোন বিট এবং ডানদিকের চারটি বিটকে বলা হয় সংখ্যাসূচক বিট। ASCII-7 এ ৭ বিট দ্বারা মোট ২৭= ১২৮ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়।




ASCII-7 এর সাথে বামে একটি প্যারিটি বিট যোগ করে ASCII-8 তৈরি করা হয়। ASCII-8 এর ৮ বিট দ্বারা মোট ২৮ = ২৫৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। বর্তমানে ASCII বলতে ASCII-8 কেই বুঝানো হয়।




বিভিন্ন ধরণের কীবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রের মধ্যে আলফানিউমেরিক ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য ASCII ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়।


ইউনিকোড কী?

Unicode এর পূর্ণনাম হলো Universal Code বা সার্বজনীন কোড। ASCII এর সাহায্যে ২৫৬ টি চিহ্নকে কম্পিউটারে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। ফলে ইংরেজি ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যেত না। বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়। Apple Computer Corporation এবং Xerox Corporation এর একদল প্রকৌশলী ইউনিকোড উদ্ভাবন করেন। ইউনিকোড 8, 16 ও 32 বিট বা 1, 2 ও 4 বাইটের হতে পারে। এ কোডের মাধ্যমে ২১৬ বা ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়।

ইউনিকোডে ক্যারেক্টার এনকোডিং পদ্ধতি- Unicode Transformation Formats (UTF)

  • UTF-8

  • UTF-16

  • UTF-32


UTF-8: ক্যারেক্টার এনকোডিং এর জন্য 1, 2 ও 4 বাইট পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। প্রথম 128 টি ইউনিকোড ASCII কে রিপ্রেজেন্ট করে। প্রায় 100% ওয়েবসাইটে ক্যারেক্টার এনকোডিং এর জন্য UTF-8 ব্যবহৃত হয়।

UTF-16: ক্যারেক্টার এনকোডিং এর জন্য 2 ও 4 বাইট ব্যবহৃত হয়। এটি Basic Multilingual Plane (BMP)।

UTF-32: ক্যারেক্টার এনকোডিং এর জন্য 4 বাইট ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য এনকোডিং থেকে বেশি স্পেস নেয় এবং এর ব্যবহার কম।

ইউনিকোডের সুবিধা

  • ইউনিকোড ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড ফলে ২১৬ = ৬৫৫৩৬ টি চিহ্নকে কম্পিউটার সিস্টেমে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়।

  • এই কোডের সাহায্যে বিশ্বের ছোট বড় সকল ভাষাকে কম্পিউটারে বুঝানো যায়।

  • ইউনিকোডের প্রথম ২৫৬ টি কোড অ্যাসকি কোডের অনুরুপ। তাই বলা যায় ইউনিকোড অ্যাসকি কোডের সাথে কম্প্যাটিবল।


1 Comment

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
muktopathsalaa
muktopathsalaa
Sep 13, 2023
Rated 5 out of 5 stars.

😍

Like
bottom of page